Skip to main content

•••মহাকরণ বা রাইটার্স বিল্ডিং •••

 ~~~মহাকরণ বা রাইটার্স বিল্ডিং~~~

মহাকরণ বা রাইটার্স বিল্ডিং (Writers' Building) পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এক সময়ের মুখ্য সচিবালয় ভবন। রাজ্যের রাজধানী কলকাতার বিবাদীবাগ অঞ্চলে লালদিঘির উত্তরে এই ভবনটি অবস্থিত।জানেন কি কেন কলকাতার মহাকরণ ভবন বা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এক সময়ের মুখ্য সচিবালয় এই লাল বাড়িটার নাম রাইটার্স বিল্ডিং হল? এর পিছনে একটা মজার কাহিনি রয়েছে। আজ আপনাদের জানাবো সেই গপ্পো.....

Writer's Building


 ১৭৭০ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ইউরোপীয় কেরানিদের বসবাসের জন্য রাইটার্স বিল্ডিংসের নকশা তৈরি করেছিলেন টমাস লিয়ন্স (Thomas Lyons)।১৭৭৬ সালে লিয়ন্স ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ইউরোপীয় কেরানিদের থাকবার জন্য মোট ১৭ বিঘা জমিতে উনিশটি পৃথক অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করেন। এই অ্যাপার্টমেন্টগুলি দেখতে ছিল অনেকটা সারিবদ্ধ দোকানের মতো।১৮০০ সাল পর্যন্ত ভবনটি ইউরোপীয় কেরানিদের থাকবার জন্যই ব্যবহৃত হতো। এর পর এটিকে প্রশিসনিক ভবন হিসাবে গড়ে তোলার কথা ভাবা হয়। ১৮৮৯ সালে তৈরি হওয়া রাইটার্স বিল্ডিংসের পরবর্তী ভবনটি গথিক স্থাপত্যের নিদর্শন। এই ভবনের সামনের অংশে করিন্থীয় স্থাপত্যশৈলীর একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এটি ছিল কলকাতার প্রথম তিনতলা বাড়ি।


এ তো হল কলকাতার প্রথম তিনতলা বাড়ির পরিচয়।এ বার বলি, কী ভাবে এই তিনতলা অ্যাপার্টমেন্টগুলির নাম ‘রাইটার্স বিল্ডিং’ (Writers' Building) হল। সে সময় যাবতীয় সরকারি নথি-পত্র, দলিল-দস্তাবেজ খাগের কলমে হাতে লিখেই তৈরি করতেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এই সব ইউরোপীয় কেরানিরা।প্রতিদিন কয়েকশো দলিল আর সরকারি নথি-পত্রের প্রতিলিপিও হাতে লিখেই তৈরি করতেন ব্রিটিশ কোম্পানির এই সব ইউরোপীয় কেরানিরা। সারা দিন ধরে দিস্তা দিস্তা নথি-পত্র লেখাই ছিল এঁদের কাজ। এই কেরানিদের সে সময় বলা হত ‘রাইটার’। এই ‘রাইটার’দের বাসভবন থেকেই এই ভবনের নাম হয়ে যায় ‘রাইটার্স বিল্ডিং’ ।


কি এবার বোঝা গেল? রাইটার্স বিল্ডিং মানে শুধু লালবাড়ি ,বিনয়-বাদল- দীনেশ নয় কলকাতার প্রথম তিনতলা বাড়ি ও কিছু লালমুখো রাইটারদের থাকার জায়গাও বটে।


লেখাঃ-গৌরব মিশ্র

তথ্য:-ইন্টারনেট

ছবি:-ইন্টারনেট



~~~"Writers' Building" or "The Mahakaran"~~~


Once a time The Writers' Building was the Chief Secretariat building of the Government of West Bengal. The building is located north of Laldighi in the Bibadibagh area of ​​Kolkata, the state capital. There is a funny story behind this. Today, I am going to share that interesting story with you all .....


In 1770, Thomas Lyons designed the Writers' Buildings for the East India Company's European clerks to live in. In 1776, Lyons built nineteen separate apartments on a total of 17 bighas of land for the European clerks of the East India Company. These apartments looked like a row of shops. Until 1800, the building was used by European clerks. Then it was thought to be built as an administrative building. The next apartment of this Writers' Building, which was built in 1889, is a symbol of Gothic architecture. The front part of the building is a fine example of Corinthian architecture. It was the first three-storied house of Kolkata.


This is the identity of the first three storey house in Kolkata. Now I will tell you how this three storey building is named "Writers' Building". At that time all the governmental documents were handwritten by the European clerks of the East India Company. Hundreds of documents and copies of government documents were handwritten by these European clerks of the British company every day. Their job was to write dista of documents throughout the day. These clerks were called 'writers' at that time. As the residence of these 'writers', the name of this building became "Writers' Building".


So, now understood ? The Writers' Building means not only red house, Binoy-Badal-Dinesh, but also the first three-storied house in Kolkata and the residence of some European writers.


Writing: - Gourab Misra

Information: -Internet

Photo: -Internet


ইতিহাসে বাংলা ফেসবুক পেজ

Comments

  1. তথ্য সমৃদ্ধ লেখা, ভালো লাগলো পড়ে।

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

"বীরভূমের হাজারদুয়ারী": হেতমপুর

 আজ সকলকে শোনাবো বীরভূম জেলার দুবরাজপুরের নিকট " হেতমপুর "নামক একটি জনপদের গল্প। এখানে আজও বর্তমান ৯৯৯ টি দরজা বিশিষ্ট রাজ অট্টালিকা। যা " বীরভূমের হাজার দুয়ারী " নামেও পরিচিত।এই হেতমপুরের পূর্ব নাম ছিল রাঘবপুর, এই নামের পরিবর্তনের পিছনে একটা ইতিহাস আছে। রাজনগরের জমিদার রাঘব রায়ের নামে নামকরণ হয়েছিল স্থানটির। রাজনগর রাজাদের অনুরোধে বাংলার নবাব মুর্শিদকুলী খান এসেছিলেন, বিদ্রোহী রাঘব রায়কে নিয়ন্ত্রণ করতে। রাঘব রায় পরাজিত হয়ে পালিয়ে গেলে, হাতেম খান এই জায়গার জমিদার হয়ে ওঠেন এবং এর নামকরণ করা হয় হাতেমপুর। সময়ের সাথে সাথে এটি হয়ে উঠেছে হেতমপুর। যদিও এ ঘটনা বঙ্গে নতুন নয়।  এবার জানবো সেই রাজপরিবার ও তার ইতিহাসসমৃদ্ধ রাজবাড়ি সম্পর্কে।  হেতমপুর রাজ পরিবারের পূর্বপুরুষ মুরলিধর চক্রবর্তী সতেরো শতকের শেষের দিকে বাঁকুড়া জেলা থেকে বীরভূমে চলে আসেন। তিনি প্রথমে রাজনগরের মুসলিম জমিদারের অধীনে চাকরিতে যোগ দেন। তাঁর মৃত্যুর পর বড়ো ছেলে চৈতন্যচরণ মা আর ভাইকে নিয়ে হেতমপুরে এসে থাকতে শুরু করেন। তখন দারিদ্র ছিল তাঁদের নিত্যসঙ্গী। চৈতন্যচরনের বড়ো ছেলে রাধানাথ চাকরি পান...

মমতাময়ী রাণীমা:শক্তিস্বরূপিনী রাণী রাসমণি।

 " নারী " সৃষ্টির আধার,"নারী"-ই শক্তি, "নারী"-ই পরমাপ্রকৃতি।আবার এই নারী যখন একাধারে হয় দেশপ্রেমিক,আধ্যাত্মিক মনভাবাপন্না,সেই সঙ্গে হয় মমতাময়ী ও ঈশ্বরের আর্শীবাদ ধন‍্যা,তখন সেই নারী হয়ে ওঠে অনন্যা। আমার উৎসাহী পাঠকবর্গকে আজ এমনই এক বিরল প্রকৃতির নারীর জীবনবৃত্তান্ত শোনাবো।যাঁর মনে ছিল গভীর দেশপ্রেম ও দেশের মানুষের জন্য ছিল পরম মমতা এবং চোখে ছিল অদম্য সাহস। পরমাত্মার অশেষ কৃপায় ও তাঁর নিজ গুণে তিনি হয়ে উঠেছেন লোকমাতা রাণী রাসমণি। মহিয়সী এই নারী একদিকে যেমন ছিলেন একজন সমাজ সেবিকা,ঠিক তেমনই অন‍্যদিকে  তিনি ছিলেন একজন ধর্মপরায়ণা,ঈশ্বরপ্রেমী মানুষ। রাণী রাসমণি ইতিহাসে বাংলা ফেসবুক পেজ ১৭৯৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর অধুনা উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হালিশহরের 'কোনা' গ্রামে এক দরিদ্র কৃষিজীবী  স্বর্গীয় হরেকৃষ্ণ দাশ ও স্বর্গীয়া রামপ্রিয়া দাশির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।রামপ্রিয়া দেবী ভালোবেসে কন‍্যার নাম " রাণী ",কিন্তু পরে প্রতিবেশীদের দৌলতে তা হয়ে ওঠে " রাণী রাসমণি "। রাসমণি মাত্র ১১ বছর বয়সেই কলকাতার জানবাজারের জমিদার বাবু প্রিতরাম দাসের সুযোগ্য প...

•••ক্ষীরগ্রামের মা যোগাদ্যা•••

পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট ব্লক এর ক্ষীরগ্রামের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন মা যোগাদ্যা।বাংলার অন্যতম একটি সতীপীঠ হলো এই ক্ষীরগ্রাম। এখানে দেবী সতীর ডান পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি পতিত হয়েছে। দেবী রূপে মহিষাসুরমর্দিনী। দেবী মূর্তি কষ্টি পাথরের তৈরী। এখানে দেবী পাতালবাসীনি।মা যোগাদ্যার মূর্তিটি সারাবছর ক্ষীরদিঘির জলে নিমজ্জিত থাকে। বৈশাখী সংক্রান্তি সময় মায়ের আবির্ভাব দিবস বা বিশেষ পুজোর সময় মাকে জল থেকে তুলে এনে চলে পূজো। প্রাচীন দেবী মূর্তি ক্ষীরগ্রামের পূজিত প্রাচীন যোগাদ্যা মূর্তিটি কোনো কারনে হারিয়ে গেছিল। মোটামুটি ২০০ বছর আগে, বর্ধমান মহারাজ কীর্তিচন্দ্র নির্দেশে দাঁইহাটের নবীন ভাস্কর নতুন যোগাদ্যা মূর্তিটি তৈরি করেন। এই নবীন ভাস্করই হলেন তিনি দক্ষিণেশ্বরে কালী মন্দিরের মা ভবতারিণীর মূর্তি নির্মাণ করেছেন। পরবর্তীকালে ক্ষীরদিঘী সংস্কারের সময় পুরনো মূর্তিটি পাওয়া যায়। বর্তমানে পুরনো মহিষাসুরমর্দিনী মূর্তি এবং নবীন ভাস্কর এর তৈরি নবীন মহিষাসুরমর্দিনী মূর্তি, দুটি ভিন্ন মন্দিরে পূজিত হয়। মায়ের মন্দিরটিও বর্ধমানের মহারাজ কীর্তিচন্দ্রর নির্দেশে নির্মান করা হয়। মন্দিরের তোরণটিও বেশ নজরক...