Skip to main content

Posts

Showing posts from February, 2022

•••মহাকরণ বা রাইটার্স বিল্ডিং •••

 ~~~মহাকরণ বা রাইটার্স বিল্ডিং~~~ মহাকরণ বা রাইটার্স বিল্ডিং (Writers' Building) পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এক সময়ের মুখ্য সচিবালয় ভবন। রাজ্যের রাজধানী কলকাতার বিবাদীবাগ অঞ্চলে লালদিঘির উত্তরে এই ভবনটি অবস্থিত।জানেন কি কেন কলকাতার মহাকরণ ভবন বা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এক সময়ের মুখ্য সচিবালয় এই লাল বাড়িটার নাম রাইটার্স বিল্ডিং হল? এর পিছনে একটা মজার কাহিনি রয়েছে। আজ আপনাদের জানাবো সেই গপ্পো..... Writer's Building  ১৭৭০ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ইউরোপীয় কেরানিদের বসবাসের জন্য রাইটার্স বিল্ডিংসের নকশা তৈরি করেছিলেন টমাস লিয়ন্স (Thomas Lyons)।১৭৭৬ সালে লিয়ন্স ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ইউরোপীয় কেরানিদের থাকবার জন্য মোট ১৭ বিঘা জমিতে উনিশটি পৃথক অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করেন। এই অ্যাপার্টমেন্টগুলি দেখতে ছিল অনেকটা সারিবদ্ধ দোকানের মতো।১৮০০ সাল পর্যন্ত ভবনটি ইউরোপীয় কেরানিদের থাকবার জন্যই ব্যবহৃত হতো। এর পর এটিকে প্রশিসনিক ভবন হিসাবে গড়ে তোলার কথা ভাবা হয়। ১৮৮৯ সালে তৈরি হওয়া রাইটার্স বিল্ডিংসের পরবর্তী ভবনটি গথিক স্থাপত্যের নিদর্শন। এই ভবনের সামনের অংশে করিন্থীয় স্থাপত্যশৈলীর একটি উৎকৃষ...

•••প্রিন্সেপ ঘাট•••

সংস্কৃতির রাজধানী কলকাতা।এই শহর কলকাতার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে কত ইতিহাস, কত স্থাপত্য, কত ঐতিহ্য।এখানকার ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো আজ পুরোনো কলকাতার স্মৃতিকে বহন করে চলেছে। গঙ্গার বুকে গড়ে ওঠা প্রিন্সেপ ঘাট তেমনই এক ঐতিহাসিক নিদর্শন। আজ আমরা জেনে নেব প্রিন্সেপ ঘাট সম্পর্কে। প্রিন্সেপ ঘাট হল কলকাতায় হুগলি নদীর তীরে ব্রিটিশ যুগে নির্মিত একটি ঘাট।প্রিন্সেপ ঘাটটি ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গের ওয়াটার গেট ও সেন্ট জর্জ গেটের মাঝে অবস্থিত। এটি তদকালীন ব্রিটিশ বড়লাট লর্ড এডেনবরার নির্দেশে ১৮৪১ সালে নির্মিত হয় এবং অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান ইতিহাসবিদ জেমস প্রিন্সেপের নামে নামাঙ্কিত।ব্রিটিশ যুগে তৈরী প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো ঘাটটি কলকাতায় হুগলী নদীর তীরে অবস্থিত। ঘাটের পাশেই স্মৃতিসৌধ তৈরী রয়েছে। বিশাল জায়গা নিয়ে স্মৃতিসৌধটি তৈরী করা হয়েছে। সৌধটির সামনে বেশ বড় খালি জায়গা জুড়ে সবুজ ঘাসে ঢাকা রয়েছে। এই জায়গাটিতে একটি মা ও বাচ্চা হাতির মূর্তি করে রাখা আছে।জেমস প্রিন্সেপের সমাধিসৌধ বা স্মৃতিসৌধটি একটি অসাধারন স্থাপত্যশৈলীর সঙ্গে সৌন্দর্যের এক অপরূপ সংমিশ্রণ। জায়গাটা বেশ পরিষ্কার পরিছন্ন। সৌধটির গা ঘেসেই গড়ে...

•••সুভাষ থেকে নেতাজী•••

শ্রী সুভাষ চন্দ্র বসু, বাংলা তথা ভারতের সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী। তাঁর জনপ্রিয়তা এমন উচ্চতায় পৌঁছেছিল, যে ব্রিটিশ সরকারও তাঁকে অন্যান্য বিপ্লবীদের চেয়ে বেশী কড়াভাবে নজরে রেখেছিল। আজ আমরা জেনে নেব এই সুভাষ বসু কি ভাবে নেতাজী হলেন,কে ডেকে ছিল সুভাষচন্দ্র বসুকে নেতাজী বলে?? তবে শুধু করা যাক.... কংগ্রেসের অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি।অবশ্য, এরপরই তাঁর অহিংস স্বাধীনতা আন্দোলনের আদর্শ থেকে মোহভঙ্গ হয় এবং সশস্ত্র আন্দোলন ছাড়া যে স্বাধীনতা পাওয়া সম্ভব নয়, এটা তিনি পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারেন। গান্ধীজীর সঙ্গে তাঁর মতবিরোধও এই সময়ে তুঙ্গে পৌঁছায়। শেষ পর্যন্ত, তাঁকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হয়। শান্ত সুভাষ থেকে নেতাজী এরপরের ইতিহাস এক অবিশ্বাস্য ঘটনাবলীর সংকলন। ব্রিটিশের কড়া নজর এড়িয়ে তিনি কলকাতা থেকে গোমো হয়ে আফগানিস্তানের এক অসম্ভব দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে পালিয়ে যান জার্মানিতে। সেখানে হিটলারের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করে তাঁকে ভারতের স্বাধীনতার গুরুত্ব বোঝাতে সক্ষম হন। হিটলার ভারতের স্বাধীনতার প্রয়োজনে অস্ত্র ও সশস্ত্র সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সুভাষ চন্দ্র-কে সাহায্য করতে সম্মত হ...