Skip to main content

Posts

Showing posts from August, 2021

ভালকি মাচান: জঙ্গল মধ্যস্থিত দুর্গ

বোলপুর থেকে মাত্র ৩০ কিমি ও গুসকরা  রেল স্টেশন থেকে মাত্র ২২ কিমি দূরে অবস্থিত ভাল্কির জঙ্গল। সেই জঙ্গলের কিনারায় রয়েছে ভালকি মাচান বা ভাল্কির দুর্গ ।  ভাল্কির দুর্গ।  চারদিকে চারটি সুরকি দিয়ে গাঁথা পোড়া ইঁটের তৈরি উঁচু মিনার দণ্ডায়মান এবং মাঝখানের মিনারটি এগুলির তুলনায় বেশি উঁচু। পাঁচটি স্তম্ভের মাঝখানে স্বল্প পরিসরে কুয়োর মত একটি গর্ত দেখা যায়, যা বর্তমানে নিরাপত্তার কারণে লোহার জালি দিয়ে ঢাকা। এটি আসলে একটি সুড়ঙ্গপথ। এই সুরঙ্গ দুর্গাপুর সিটিসেন্টারের সুড়ঙ্গের সঙ্গে সংযুক্ত।শোনা যায়, যা দেবী চৌধুরানী এবং অন্যান্য বিপ্লবীরা ব্যবহার করতেন এবং এই সুড়ঙ্গ দিয়ে নাকি ঘোড়া ছুটিয়েও যাওয়া যেত। কেউ বলে, মিনার গুলি শত্রুদের উপর লক্ষ্য রাখার জন্য বানানো হয়েছিল। আবার কারোর মতে, এগুলি বিমানের দিকনির্দেশ করত‌। এছাড়াও নানা জনশ্রুতিও শোনা যায় এই ভালকি মাচান ও তার নামকরণকে ঘিরে। ঐতিহাসিক সুরঙ্গ একসময় এই জঙ্গলে ভালুক ছিল এবং সেই ভালুক শিকারের জন্যই রাজা ভল্লু এই মাচান বানিয়েছিলেন, সেই অনুসারেই এর নাম হয় ভালকি মাচান। সবচেয়ে প্রচলিত জনশ্রুতিটি হল, সুরাটের কোন এক রাজা তাঁর অন...

"বীরভূমের হাজারদুয়ারী": হেতমপুর

 আজ সকলকে শোনাবো বীরভূম জেলার দুবরাজপুরের নিকট " হেতমপুর "নামক একটি জনপদের গল্প। এখানে আজও বর্তমান ৯৯৯ টি দরজা বিশিষ্ট রাজ অট্টালিকা। যা " বীরভূমের হাজার দুয়ারী " নামেও পরিচিত।এই হেতমপুরের পূর্ব নাম ছিল রাঘবপুর, এই নামের পরিবর্তনের পিছনে একটা ইতিহাস আছে। রাজনগরের জমিদার রাঘব রায়ের নামে নামকরণ হয়েছিল স্থানটির। রাজনগর রাজাদের অনুরোধে বাংলার নবাব মুর্শিদকুলী খান এসেছিলেন, বিদ্রোহী রাঘব রায়কে নিয়ন্ত্রণ করতে। রাঘব রায় পরাজিত হয়ে পালিয়ে গেলে, হাতেম খান এই জায়গার জমিদার হয়ে ওঠেন এবং এর নামকরণ করা হয় হাতেমপুর। সময়ের সাথে সাথে এটি হয়ে উঠেছে হেতমপুর। যদিও এ ঘটনা বঙ্গে নতুন নয়।  এবার জানবো সেই রাজপরিবার ও তার ইতিহাসসমৃদ্ধ রাজবাড়ি সম্পর্কে।  হেতমপুর রাজ পরিবারের পূর্বপুরুষ মুরলিধর চক্রবর্তী সতেরো শতকের শেষের দিকে বাঁকুড়া জেলা থেকে বীরভূমে চলে আসেন। তিনি প্রথমে রাজনগরের মুসলিম জমিদারের অধীনে চাকরিতে যোগ দেন। তাঁর মৃত্যুর পর বড়ো ছেলে চৈতন্যচরণ মা আর ভাইকে নিয়ে হেতমপুরে এসে থাকতে শুরু করেন। তখন দারিদ্র ছিল তাঁদের নিত্যসঙ্গী। চৈতন্যচরনের বড়ো ছেলে রাধানাথ চাকরি পান...